পেনসিলভানিয়া, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সর্বশেষ:
জামায়াতে যোগ দিলেন অর্ধশতাধিক বিএনপি–জাপা নেতাকর্মী জাপা ও জেপির নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ৮ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস আজ আমার হায়াত কমিয়ে হলেও খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে দেন জোট গঠনের বিষয়ে যা বললেন সারজিস বিএনপির সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করল বাংলাদেশ লেবার পার্টি ১০ ডিসেম্বর তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে না, বরং পুনর্গঠনের পথে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে যেসব আধুনিক সুবিধা দেশে এল তারেক রহমানের ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার গাড়ি, বিআরটিএতে নিবন্ধন সম্পন্ন পুলিশ কমিশন গঠন হচ্ছে, অধ্যাদেশ অনুমোদন নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে আম জনতার দল, চেয়েছে প্রজাপতি প্রতীক অক্সফোর্ড ইউনিয়নের আমন্ত্রণ পেলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন কমান্ডো এনএসজিসহ ২৪ ভারতীয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

“আসুন ফিলিস্তিনকে নিয়ে একটু ভাবি”

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫:১৪ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ মোহাম্মদ ওমর ফারুক॥

   মুসলমানদের সংগঠন যদি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে তাহলে ফিলিস্তিন কেন শুধু বিশ্বের কোনো মুসলিম দেশেই হামলা বা শাসন-শোষণ করতে হলে একশ’বার ভাবতে হবে। ইহুদিরা এখন দিন গুনছে দাজ্জালের আগমনের। আর আমরাও স্মরণ করি, এডলফ হিটলারের কথা। তিনি যেভাবে বিশ্বের বুকে ইহুদিদের ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছিলেন, সেই কথা সবার মনে পড়ে। অনেকেই হয়তো তার সেই বিখ্যাত উক্তি নিয়েও চর্চা করেন, তিনি কিছু ইহুদি রেখে যাচ্ছেন যাতে সবাই মনে করে যে কেন তিনি তাদের মেরেছিলেন! আজ আমাদের সত্যিই হিটলারকে মনে পড়ে।আমরা খুব ভালো আছি, ভালো খাচ্ছি, নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছি। কিন্তু আমাদের ভাইয়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে আছে। প্রতি মুহূর্ত মৃত্যুভয়ে পার করছে তারা।দিন চলে যায়, রাত চলে যায় কিন্তু কিছু মানুষের দুঃখ দুর্দশা চিরকাল থেকেই যায়। আমরা সারা বিশ্ব কি দারুণ একটা সময় পার করলাম। আমরা ঈদ কাটালাম, আনন্দ করলাম। কিন্তু ফিলিস্তিন ও গাজার মানুষগুলো কি অসহায় দিনযাপন করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ঈদের আনন্দ ওদের কাছে ফিকে হয়ে গেছে। ওদের কাছে বেঁচে থাকাই যেন ঈদের আনন্দ। প্রতিটা মুহূর্ত ওরা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে। একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই দৃশ্যটা এমন না হলেও হতে পারতো।ইহুদিদের নির্দিষ্ট কোনো ঘর ছিল না। ফিলিস্তিনের বুকে তারা এক রকম উড়ে এসে জুড়েই বসেছে বলা যায়। মূলত দেশটা ফিলিস্তিনের, এটাই হচ্ছে চরম সত্য। ফিলিস্তিন তাদের পূর্বের মানচিত্রে ফিরে যেতে চায়। এটা শুধুমাত্র তাদের না, সারা বিশ্বের সকল মুক্তিকামী মানুষের চাওয়ার জায়গা।আমরা যেভাবে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা পেয়েছি, সেভাবেই ফিলিস্তিনও স্বাধীনতা চায়। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য যুগ যুগান্তরে অনেকেই কাজ করে গেছেন। সেই পালে নতুন হাওয়া লাগিয়েছিল হামাস। হামাস হচ্ছে হারাকাত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়া (ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন), তারা ফিলিস্তিনের একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল যারা গাজা শহর নিয়ন্ত্রণ করে। হামাস বেশ কিছুদিন ধরেই নতুন করে ইসরাইলে হামলা চালাচ্ছে। হামাসের হামলার সাথে নতুন করে যোগ দিয়েছে পরমাণু শক্তিধর দেশ ইরান।ইরান যখন হামাসের পক্ষ নিয়েছে বা ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তখন চতুর্দিকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। প্রথমত বেশির ভাগ মানুষ ইরানকে সাধুবাদ জানিয়েছে।এইদিকে,ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতা বহুদিনের। আর ইসরাইলের সবচেয়ে বড় মিত্র হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্রের কানে সুড়সুড়ি দেয়ার জন্যই কি এই হামলা?

   সামনে মার্কিন নির্বাচন, এই মুহূর্তে ইরানকে হুমকি-ধমকি ভালোভাবে দিতে পারছে না।পাশাপাশি ইসরাইলও নড়েচড়ে বসেছে। তারা জাতিসংঘে নালিশ দেয়াও শুরু করেছে। এদিকে আবার সামনে ভারতের নির্বাচন। ইসরাইলের যেমন মিত্র যুক্তরাষ্ট্র তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ভারত। দুই দেশের নির্বাচনের আগে ইসরাইল যদি হামাস আর ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে পিছিয়ে যার এর প্রভাব দুই দেশের নির্বাচনেও পিছিয়ে যাবে ক্ষমতাসীন দলগুলো।ইরান নিশ্চিতভাবে মধ্যপ্রাচ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়, এটা সত্য। কিন্তু ইসরাইলের সঙ্গে ইরানের শত্রুতা কিন্তু নতুন না।হামাসের সঙ্গে হোক ফিলিস্তিনের সঙ্গে হোক সখ্যতার চেয়েও বড় বিষয় হয়তো ইসরাইলের সঙ্গে ইরানের ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব। আবার এটাও সত্য যে ইসরাইলের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব লেগেছেও ফিলিস্তিনের জন্যই। যে কারণেই করুক তারা তো পাশে দাঁড়িয়েছে। মুসলিমদের বড় বড় হর্তাকর্তা দেশগুলো এখন ইরানের দোষ না ধরে তারাও তো পাশে দাঁড়াতে পারতো। সেটা না করে ইরানের পেছনে লাগার কোনো কারণ নাই। বিষয় হচ্ছে, ফিলিস্তিনে যে হত্যাযজ্ঞ ইসরাইল চালাচ্ছে তা দিনের আলোর মতই পরিষ্কার, এটা সবাই দেখতেই পাচ্ছে। কিন্তু কেউ কথা বলছে না।মুসলমানদের যারা হর্তাকর্তা আছে তারা কেন চুপ করে বসে আছে। এই বিষয়ে সবচেয়ে যাদের বেশি এগিয়ে আসার কথা ছিল তাদের চুপ থাকার বিষয়টা সবাইকে অবাক করে। বিশ্ব মুসলিমদের আবেগ অনুভূতির জায়গা সৌদি আরব কেন কোনো কথা বলে না এটা নিয়ে অনেকের অনেক কথা। যেই দেশে পবিত্র কাবা শরীফ আছে, যেই দেশে আমাদের প্রিয় নবী (স.) এর কবর রয়েছে তারা যদি মুসলমানদের কষ্টে চুপ থাকে তাহলে কষ্ট সবার লাগে। 

ফিলিস্তিন শুধু মুসলিম দেশ বলে নয়। ফিলিস্তিনের মাটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ইসরাইলের সকল কিছুর কেন্দ্রবিন্দু আল আকসা মসজিদ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মসজিদ মুসলমানদের প্রথম কিবলা ছিল। এই জায়গা থেকে আমাদের প্রিয় নবী (স.) কে মেরাজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর ঠিক সেই মসজিদ ভেঙে ইহুদিরা বানাতে চায় কিং সালমানের তৃতীয় মন্দির।শুধু মুসলমান হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে উচিত এই হত্যাযজ্ঞের বিপক্ষে দাঁড়ানো। শুধু ফিলিস্তিন নয়, কোথাও এমনটা না হোক, সেটাই প্রত্যাশা। 

মন্তব্যঃ

দুঃখিত, কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি!

নতুন মন্তব্য করুন:

ad
সকল খবর জানতে ক্লিক করুন
ad