পেনসিলভানিয়া, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সর্বশেষ:
জামায়াতে যোগ দিলেন অর্ধশতাধিক বিএনপি–জাপা নেতাকর্মী জাপা ও জেপির নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ৮ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস আজ আমার হায়াত কমিয়ে হলেও খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে দেন জোট গঠনের বিষয়ে যা বললেন সারজিস বিএনপির সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করল বাংলাদেশ লেবার পার্টি ১০ ডিসেম্বর তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে না, বরং পুনর্গঠনের পথে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে যেসব আধুনিক সুবিধা দেশে এল তারেক রহমানের ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার গাড়ি, বিআরটিএতে নিবন্ধন সম্পন্ন পুলিশ কমিশন গঠন হচ্ছে, অধ্যাদেশ অনুমোদন নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে আম জনতার দল, চেয়েছে প্রজাপতি প্রতীক অক্সফোর্ড ইউনিয়নের আমন্ত্রণ পেলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন কমান্ডো এনএসজিসহ ২৪ ভারতীয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

সুশীলা কার্কি হলেন নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৫ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বিক্ষোভগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা, সরকারি দুর্নীতি ও রাজনৈতিক nepotism-এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হিসাবে শুরু হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞাটি তুলে নেওয়া হলেও উত্তেজনা থামেনি, বিক্ষোভ দ্রুত ভয়াবহ রূপ নেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অন্তত ৫১ জন মারা যান, ও হাজারের বেশি আহত হয় বিক্ষোভকালে।

প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি জাতির মনোজগতে বিশ্বাস ও স্বচ্ছতার এক প্রতীক। বিচার বিভাগে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দুর্নীতিবিরোধী মামলায় যুক্ত ছিলেন, যার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে তার ইমেজ ইতিমধ্যেই দৃঢ় একটি নৈতিক অবস্থানের অধিকারী হিসেবে গড়ে উঠেছে।

নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল ও সেনাপ্রধান আশোক রাজ সিগ্দেল, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এই অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনকে অনুমোদন দেন। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৫ মার্চ ২০২৬ তারিখে নতুন সাধারণ নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কার্জকর্তা সরকারের কাজ হবে শান্তি ও স্থিতি ফিরিয়ে দেওয়া, আন্দোলনে হতাহতদের জন্য বিচার নিশ্চিত করা, এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া দক্ষ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদন করা।

সুশীলা কার্কি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ শপথ নেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে। শপথ গ্রহণের আগের দিন থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া নিয়ে কিছু বিভেদ ছিল – তবে রাষ্ট্র ও সেনা বাহিনীর মধ্যস্থতায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহনযোগ্য হয়ে ওঠে।

এবারের পরিস্থিতিতে অনেকের মনে হচ্ছে, এই পরিবর্তন শুধু একটি প্রশাসনিক প্রয়োজনেই নয়, বরং দেশের তরুণ প্রজন্মের (‘Gen Z’)-এর প্রত্যাশার একটা প্রতিফলন। আন্দোলনকারীদের একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে নির্ধারিত রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর স্বার্থ, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বিরোধ প্রদর্শন করেছে। নিউজ বিশ্লেষকদের মতে, প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে — নতুন সরকার কত দ্রুত জনগণের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারবে, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর অপব্যবহার ও বিক্ষোভ চলাকালীন মৃত্যুর জন্য তদন্ত ও বিচার কিভাবে হবে, এবং নির্বাচন সময়ে যথেষ্ট সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না। দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে শান্তি ও স্থিতি ফিরিয়ে আনা হবে কি না, সেটাও আগামী মাসগুলোর বড় পরীক্ষা।

মন্তব্যঃ

দুঃখিত, কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি!

নতুন মন্তব্য করুন:

ad
সকল খবর জানতে ক্লিক করুন
ad