পেনসিলভানিয়া, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সর্বশেষ:
বিএনপি’র প্রার্থী পরিবর্তনে আবেদনের স্তূপ নয়াপল্টনে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, যা বললেন জামায়াত আমির হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু: ডিএমপি কমিশনার হাদি বলেছিলেন, ‘তোমরা আইসো না, প্রচারণা শেষে একসঙ্গে লাঞ্চ করবো’ খালেদার জন্য হাসিনার প্রার্থনা, স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ পার্থর বিপক্ষে এনসিপি থেকে লড়বেন তাজনূভা জাবীন বগুড়া ৬-এ তারেক রহমানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এনসিপির ওয়াকি আব্দুল্লাহ কে কোন আসনে লড়বেন এনসিপির আলোচিত নেতারা ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার ঢাকা কলেজ ও আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ মদ বিক্রি শুরু করলো সৌদি আরব জনগণ ১৯৭১ সালেই তাদের দেখেছেন: তারেক রহমান ১০ ডিসেম্বর রেকর্ড হবে সিইসির ভাষণ, সেদিনই হতে পারে তফসিল ঘোষণা নীতি-আদর্শ ছাড়াই ধর্মের নামে রাজনীতি করছে একটি দল ১৮ দল নিয়ে জাপার একাংশ ও জেপি’র নেতৃত্বে জোট এনডিএফ ঘোষণা

৯০ দশকের অসাধারন কিছু স্মৃতি নিয়ে আমার লেখা “বইপড়া”

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:০৫ পিএম, ২৫ মে, ২০২৪

তানজিমা আক্তার

৯০ দশকের বই পড়ার কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে।ঐসময় আজকের মতন বিনোদনের এত মাধ্যম ছিল না গল্পের বই ছিল আমাদের বিনোদন।গল্পের বইটাই তখন লুকিয়ে পড়তে হত কারণ পাঠ্য বই ছাড়া মা গল্পের বই পড়তে দিত না।এমনও দিন ছিল যখন পাঠ্য বইয়ের ভেতরে গল্পের বই লুকিয়ে রেখে পড়েছি আমরা অনেকেই।সারাদিন কানে শুধু মার একটাই কথা বাজতে থাকতো পড়তে বস,পড়তে বস,পড়তে বস।সেই সময় কি ভুলেও ভেবেছি মাকে রেখে এত দূরে থাকবো যে মাকে ছাড়া সকাল হতো না রাতে ঘুমাতে যেতাম না সে মাকে এখন বছরের পর বছর কাছে পাইনা।মার বকুনি,আদর,ভালোবাসা সবকিছু মিস করি।সেই সময় আমাদের জন্য গল্পের বই পাওয়াটা ও সহজলভ্য ছিল না।তখন"নীলক্ষেত"থেকে গল্পের বই আনতে হতো।নীলক্ষেতে সব ধরনের বই পাওয়া যায় যেত।সেখানে পুরনো গল্পের বইও পাওয়া যেত।অনেকে ৫ টাকা ১০ টাকা করেও বই নিয়ে আসতো কয়েক দিনের জন্য সেই বই আবার সময়মতো ফিরিয়ে দিয়ে আসতে হতো।আজকালের বাচ্চারা এসব শুনলে হাসবে কিন্তু আমাদের জন্য সেটাই অনেক আনন্দের ছিল।গল্পের বইয়ের মধ্যে অনেক লেখকের বই আমাদের সময় জনপ্রিয় ছিল।হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর লেখা বইগুলো সেই সময় আমাদের খুব পছন্দের গল্পের বই ছিল।গল্পের বইয়ের কথা বলব আর আমার বড় বোনের তিন গোয়েন্দার বই পড়ার কথা বলবো না তা কি করে হয়।আমি যখন ছোট ছিলাম আমার বোন তিন গোয়েন্দার বই পড়তেন।আমার বড় বোন একসাথে দশ বারোটা বই নিয়ে আসতেন এবং পড়ে শেষ করতে করতেন।আমার বোনের তিন গোয়েন্দার বই খুব পছন্দ ছিল।আমাদের সময় যুগান্তর পত্রিকায় সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন আসতো বিচ্ছু নামে তার অপেক্ষায় থাকতাম পুরো সপ্তাহ।বিচ্ছু ম্যাগাজিন টা জমানোর খুব শখ ছিল তার জন্য সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করতাম।সময়টা সত্যি দারুন কেটেছে।সে সময় পত্রিকা গুলোর সাথে বিচ্ছু বলেন আর ছুটির দিন বলেন সেগুলোর মধ্যে এমন কিছু ছিল যা আমাদের অপেক্ষায় রাখত।এখনের বাচ্চাদের মধ্যে বই পড়ার প্রবনতা আগের মত দেখা যায় না।ওরা যেন ওদের রাজ্যেই ব্যস্ত।৯০ দশকের বই পড়া নিয়ে ক্ষুদ্র কিছু স্মৃতি মনে করার চেষ্টা করলাম।আশা করি সবার ভালো লাগবে।চলবে……

মন্তব্যঃ

দুঃখিত, কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি!

নতুন মন্তব্য করুন:

ad
সকল খবর জানতে ক্লিক করুন
ad