পেনসিলভানিয়া, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সর্বশেষ:
জামায়াতে যোগ দিলেন অর্ধশতাধিক বিএনপি–জাপা নেতাকর্মী জাপা ও জেপির নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ৮ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস আজ আমার হায়াত কমিয়ে হলেও খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে দেন জোট গঠনের বিষয়ে যা বললেন সারজিস বিএনপির সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করল বাংলাদেশ লেবার পার্টি ১০ ডিসেম্বর তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে না, বরং পুনর্গঠনের পথে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে যেসব আধুনিক সুবিধা দেশে এল তারেক রহমানের ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার গাড়ি, বিআরটিএতে নিবন্ধন সম্পন্ন পুলিশ কমিশন গঠন হচ্ছে, অধ্যাদেশ অনুমোদন নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে আম জনতার দল, চেয়েছে প্রজাপতি প্রতীক অক্সফোর্ড ইউনিয়নের আমন্ত্রণ পেলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন কমান্ডো এনএসজিসহ ২৪ ভারতীয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ভাষাসৈনিক, কবি ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক আর নেই

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:৩৬ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৫

ঢাকা প্রতিনিধি:

ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক আর নেই। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)


১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেওয়া আহমদ রফিক দীর্ঘদিন নিউ ইস্কাটনের গাউসনগরের একটি ভাড়া বাসায় একাই বসবাস করছিলেন। ২০০৬ সালে স্ত্রীকে হারান তিনি। নিঃসন্তান এই ভাষাসৈনিক জীবনের শেষভাগ কাটিয়েছেন একাকীত্বে। তাঁর একমাত্র সম্পদ ছিল বিপুলসংখ্যক ব্যক্তিগত বইয়ের সংগ্রহ।



ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস রচনায় তিনি ছিলেন অন্যতম প্রাবন্ধিক। শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন আহমদ রফিক। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন। দুই বাংলার রবীন্দ্রচর্চায় তার ভূমিকা বিশেষভাবে স্বীকৃত। কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি প্রদান করে।



২০১৯ সাল থেকে তার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে শুরু করে। অস্ত্রোপচার করেও আশানুরূপ ফল পাননি তিনি। ২০২১ সালে পা ভেঙে যাওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থা আরও অবনতির দিকে যেতে থাকে। ২০২৩ সাল থেকে তিনি প্রায় সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন ছিলেন। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তার অসামান্য অবদান বিবেচনায় দেশের বুদ্ধিজীবীরা তার উন্নত চিকিৎসা ও রাষ্ট্রীয় সহায়তার দাবি তুলেছিলেন।



মৃত্যুর আগে আহমদ রফিক তার দেহ ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে দান করে যান—যা তার মানবিক ও জ্ঞানপিপাসু দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।

মন্তব্যঃ

দুঃখিত, কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি!

নতুন মন্তব্য করুন:

ad
সকল খবর জানতে ক্লিক করুন
ad